Press ESC to close

পারসোনাল ব্র্যান্ডিং কেন দরকার?

এন্টারপ্রেনার হই অথবা জব করি, পারসোনাল ব্র্যান্ডিং সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যরা কিভাবে জাজ করবে, তা নির্ভর করে আমাদের পাবলিক এপেয়ারেন্সের উপর।

ভেতরে ভেতরে আমার অনেক স্কিল রয়েছে বা ভেতরে ভেতরে আমি একজন টিম প্লেয়ার এটা কেউই জানবে না যদি না আমি মানুষকে না জানাই। আর জানানোর সবচেয়ে সহজতম মাধ্যম হচ্ছে শেয়ারিং।

শেয়ার করার জন্য আপনি যে কোন প্লাটফর্মই বেছে নিতে পারেন। কেউ ইউটিউব বেছে নেয়, কেউ ইন্সটাগ্রাম, কেউ ফেসবুক কেউ বা টিকটক। আপনার অডিয়েন্স কারা, তারা কোন প্লাটফর্ম বেশি ব্যবহার করে, এসব এনালাইসিস করে আপনি যে কোন প্লাটফর্ম বেছে নিতে পারেন।

কি শেয়ার করবেন, তা নির্ভর করবে আপনার প্রফেশনাল গোলের উপর। যাদের গোল বিসনেস করা, তাদের শেয়ার হবে এক রকম। আবার যারা জব খুঁজছে, তাদের শেয়ার হবে অন্য রকম। আপনি মানুষের কাছে কিভাবে পরিচিত হতে চাচ্ছেন, তা ঠিক করে ঐ ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। কন্টেন্ট ক্রিয়েট না করতে পারলে ভালো ভালো কন্টেন্ট গুলো শেয়ার দিতে পারেন। মানুষ বুঝবে আপনার ইন্টারেস্ট কোন বিষয়ের উপর। ঐ ভাবেই আপনাকে জাজ করবে।

এখন কেউ কেউ নিজ নিজ প্রফেশনের এমন এক পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে যে তাদের আসলে কেউ জানল কি জানল না, তা আর ম্যাটার করে না। কিন্তু গ্রো করার জন্য তাদেরও একটা প্লাটফর্ম লেগেছে একটা সময়। কেউ একটা সময় তাদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যে হাত ধরে তারা উপড়ে উঠেছে। আমরা তাদের দিকেই তো হাত বাড়িয়ে দেই, যাকে আমরা চিনি। তাই না?

ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে সবাই ফোকাস করছিল অনলাইন পেজেন্সের উপর। অনলাইন প্রেজেন্সকে কাজে লাগিয়ে অফলাইন নেটওয়ার্কিং বাড়ানো যায়। কিন্তু অনলাইন পেজেন্সকে কাজে না লাগিয়েও অফলাইন নেটওয়ার্কিং বাড়ানো যায়। দিন দিন আমরা বুঝতে শিখছি যে অনলাইন এক্টিভিটির মত অফলাইন এক্টিভিটিও কাজে দেয়। যদিও তার একটা লিমিটেশন রয়েছে। আর তা হচ্ছে অডিয়েন্সের লিমিটেশন। অনলাইনে অডিয়েন্সের লিমিটেশন নেই।

মানি আর না মানি, একজন মানুষের অনলাইন প্রেজেন্সের যদি পজেটিভ থাকে, তাহলে তাকে হায়ার করার চান্স বেড়ে যায়। যারা ইন্টার্ভিউ নেয়, তারা যদি কোন ভাবে আপনাকে আগে থেকে চিনে, তাহলে জব পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। আবার একই ভাবে কোন স্টার্টআপের ফান্ডিংও তারাই পায়, যারা আগে থেকে একটা পজেটিভ ব্র্যান্ডিং তৈরি করতে পেরেছে।

নেগেটিভিটি মানুষ পছন্দ করে না। অনলাইনে হয়তো অনেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা পোস্ট করি, কমেন্ট করি, কোন নিউজ শেয়ার করি। এসব শেয়ার গুলো যদি নেগেটিভ হয়ে থাকে, তাহলে নিজের ব্র্যান্ডের উপর একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়ে।

ফেইক কোন কিছু টিকে না। আজ হোক বা কাল, তা ভেঙ্গে পড়বেই। ফেইক কোন কিছু হয়তো সাময়কি একটু বুষ্ট দিবে। কিন্তু লং রানে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ইন্টারনেটের একটা অসুবিধা হচ্ছে কোন কিছুই লুকানো যায় না। কেউ না কেউ লেজ বের করে টান দেয়!

অন্য সব ইনভেস্টমেন্টের মত পার্সনাল ব্র্যান্ড বিল্ডিংও গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনভেস্টমেন্ট। সময় দিলে আস্তে আস্তে একটা সুন্দর ব্র্যান্ড দাঁড়িয়ে যাবে। গুগলে আপনার নাম সার্চ দিলে পজেটিভ কিছু আসছে? কনগ্র্যাচুলেশনস।

অনুরূপ

wave
Read
ডিসেন্ট ইনটু মাইসেলফ – চিকিৎসা, সাহিত্য, এবং আত্মসমীক্ষার সমীকরণ

প্রেক্ষিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন রাশিয়া। চরিত্রের নামগুলি কাল্পনিক হলেও ঘটনা ভয়ঙ্করভাবে...

by Jisan

10

Read
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় ও গানে রথ-প্রসঙ্গ

রবীন্দ্রনাথ যে সময়ে জন্মেছিলেন, কলকাতায় তখন রথ দৈনন্দিন ব্যবহারের মধ্যে সচল ছিল না।...

by Jisan

8

Read
কিসে ইনভেস্ট করব?

সর্বজনীন পেনশন স্কিম, বন্ড, বীমা, ফিক্সড ডিপোজিট এসব করা থেকে ফিক্সড কোন এসেটে ব্যয় করুন।...

by হোসাইন

4